আজ সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভয়ংকর তানিম অধরা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

২২ বছরের যুবতিকে অপহরণ, গণধর্ষণ ও গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টা করায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় শহরের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী চাষাঢ়ার তামিম ওরফে তানিমসহ তার ৩ বন্ধুকে আসামী করা হয়েছে। ৪ আগষ্ট রাতে পুলিশ ওই যুবতিকে শহরের চানমারি এলাকার থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় থানায়। সকালে ৪ জনকে আসামী করে মামলা করেন সেই যুবতি। তবে পুলিশ তানিম সহ তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। উল্লেখ্য, শহরের চিহ্নিত ও ভয়ংকর সন্ত্রাসী তানিম নানা অপরাধে জড়িত। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার পরির্দশক মো. সামসুদ্দিন জানান, তানিমসহ ৪ জনকে আসামী করে মামলা করেছেন যুবতি। মামলায় অপহরণ, গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা ও বন্দরের কলাগাছিয়া ধর্ষণের বিষয়েটি উল্লেখ করেন সেই যুবতি। তানিমসহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেন তিনি।

জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ফোনালাপ হয় এই যুবতির সাথে। ৩০ আগষ্ট শহরের চাষাঢ়া চানমারি এলাকার একটি বাড়িতে ডেকে নিয়ে নেশা খাইয়ে প্রথম নিজে ধর্ষণ করে তানিম। এরপর তার দুই ২ বন্ধুকে দিয়ে ধর্ষণ করায় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী চাষাঢ়ার তামিম ওরফে তানিম। বৃহস্পতিবার রাতে ওই যুবতি চিৎকার করে এসব কথা বলেছিলেন চানমারিতে। পরে খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ এসে ওই যুবতিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সকালে যুবতি নিজেই বাদি হয়ে মামলা করেন। পুলিশ বলছে এ ঘটনার আগে কলাগাছিয়া এলাকায় নিয়ে ধর্ষণের ঘটনাও রয়েছে বলে জানিয়েছিলো ওই যুবতি।

এর আগে ওই যুবতি জানিয়ে ছিলেন, তানিমের সাথে তার দীর্ঘ দিন ফোনে কথা হয়। তানিম গাড়িতে করে তাকে লংড্রাইভেও নিয়ে যায় একাধিকবার। পরে তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। ৩০ আগস্ট চানমারি একটি চারতলা বাড়ির চারতলার একটি ফø্যাটে তাকে নিয়ে যায় তানিম। পরে সেখানে তানিম তাকে ধর্ষণ করে। এরপর পরের এভাবে একটানা চারদিন তাকে ধর্ষণ করে তানিম ও তার বন্ধুরা। ওই যুবতির প্রকাশ্যে এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য, তানিম শহরের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। সে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির লোক পরিচয় দিয়ে শহর ডাপট দেখায়। এর আগে একাধিকবার সে গ্রেপ্তার হয়েছে। ২০১২ সালে ফতুল্লায় ব্যবসায়ীকে গুলি করে ৩ লাখ টাকা ছিনতাইসহ নানা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তানিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৯ সালে আরেকবার গ্রেপ্তার হয়। ওই সময়ে পুলিশ জানিয়েছিলো গ্রেপ্তারকৃত তানিম ৬ টি জিআর ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি। সে ফতুল্লা মডেল থানার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তানিম ফতুল্লা মডেল থানাধীন উত্তর চাষাঢ়া এলাকার খলিলুর রহমানের পুত্র।